TMCP র প্রতিষ্ঠা দিবসে মেয়ো রোডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন খুবই আক্রমনত্মক। একদিকে তাঁর বক্তব্যে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতি প্রচ্ছন্ন হুমকির আভাস পেয়েছেন অনেকেই। অন্যদিকে অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্যের প্রতি তাঁর হুমকি কিছুটা অব্যাহত ছিল। বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “কেউ কেউ মনে করছেন এটা বাংলাদেশ। আমি ওদের ভালবাসি। ওদের সংস্কৃতি আমাদের সংস্কৃতি এক। তবে এটা আলাদা রাষ্ট্র। ভারতবর্ষ একটা আলাদা রাষ্ট্র। বাংলায় যদি আগুন লাগান, কোনও রাজ্যই থেমে থাকবে না। বাংলায় আগুন লাগালে অসম থেমে থাকবে না। উত্তর-পূর্ব, উত্তর প্রদেশ থেমে থাকবে না। বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা এবং দিল্লিও থেমে থাকবে না। আপনার চেয়ারটা আমরা টলমল করে দেব।” স্বাভাবিক কারণেই ওই সমস্ত রাজ্যের মানুষ ক্ষুন্ন মমতার এই বক্তৃব্যে।
বুধবার রাতেই একের পর এক রাজ্য থেকে প্রতিক্রিয়া আসতে থাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যর প্রতিবাদে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “দিদি, আপনার এত সাহস হল কীভাবে যে অসমকে হুমকি দিচ্ছেন? আমাদের রক্তচক্ষু দেখাবেন না। বিভাজনকারী ভাষা বলাটা আপনার শোভা পায় না।” মমতার মন্তব্যের বিরোধিতা করেছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, “তৃণমূল সরকারের নারী বিরোধী আচরণ গণতন্ত্রের লজ্জা।” মমতার মন্তব্যের বিরোধিতা করে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি বলেন, “ওড়িশার সম্পর্কে আপত্তিজনক মন্তব্য করার অধিকার আপনাকে কে দিয়েছে? ওড়িশা শান্তিপূর্ণ রাজ্য। এখানকার মানুষ দায়িত্ববান।” অন্যান্য অনেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা মনে করেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কন্ঠে এই ভাষা আসলে প্রচ্ছন্ন ধমক দেওয়া। সেই ধমকের প্রতিবাদ করেছেন অনেকেই।