পুলিশের দায়িত্ব আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখা। আর সেই শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য পুলিশকে জীবনের ঝুঁকি নিতেই হয়। বার বার আক্রান্ত হয়েছে পুলিশ। এবার ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-এর নবান্ন অভিযানের দিন চরম অশান্তি বাধে হাওড়া, কলকাতার একাধিক জায়গায়। বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটে রক্তাক্ত হন ট্রাফিক সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তী। এক চোখে আর কখনও ভালভাবে দেখতে পাবেন কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সেই দেবাশিসের ছবিই এবার রাজ্যের বিভিন্ন পুলিশ জেলার সামাজিক মাধ্যমের প্রোফাইল ছবি। প্রশ্ন উঠেছে পুলিশদের নিরাপত্তা নিয়ে। পুলিশ কর্মীরাও আমাদের ঘরের মানুষ। স্বাভাবিক কারণেই মানুষ শঙ্কিত হয় পুলিশের নিরাপত্তা নিয়ে।
এর আগেও সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম কাণ্ডে আন্দোলনকারীদের আক্রমনে আহত হয়েছিলেন বহু পুলিশ কর্মী। মৃত্য হয়েছিল একজনের। সে ২৭ আগস্ট ২০২৪ হোক অথবা ২১ জুলাই ১৯৯৩ হোক পুলিশের জীবনে একটা বড়ো ঝুঁকি থেকেই যায়। আরজি করকাণ্ডে বিচার চেয়ে জোরাল প্রতিবাদ দিকে দিকে। সোশ্যাল মিডিয়ার জমানায় ডিসপ্লে পিকচার বা ডিপি বদলে প্রতিবাদ দেখা যাচ্ছে। এবার ‘জাস্টিস’ চাইছে পুলিশও। গত মঙ্গলবার পুলিশের উপরও হামলার অভিযোগ উঠেছে। বিক্ষোভকারীরা কখনও ইট ছুড়েছেন, কখনও লাঠি। এমনকী রাস্তায় ফেলে মারা পর্যন্ত হয়েছে। এরইমধ্যে টিভির পর্দায় আচমকা ভেসে ওঠে, এক সাদা উর্দিধারী হেঁটে আসছেন, বাঁ চোখ হয়ে রক্ত হাত, পোশাক সমস্তটা লাল করেছে। সাংঘাতিক সে দৃশ্য! পরে জানা যায়, চোখে অপারেশন করতে হয়েছে। তবে তা সফল কি না, এখনও স্পষ্ট নয়। ৩৭ বছরের ওই ট্রাফিক সার্জেন্টের জাস্টিস চাইছেন তাঁর সহকর্মীরা। সহকর্মীর জন্য বিচার চেয়ে এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখর পুলিশও। এর আগে বিভিন্ন সময় পুলিশকে আক্রান্ত হতে হয়েছে। তবে এভাবে তারা সামাজিক মাধ্যমে ডিপি বদলে সরব হয়েছেন, তেমনটা দেখা যায়নি। আহত ইস্ট ডিভিশনের সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তীর আহত ছবি ডিপি হিসাবে ব্যবহার করেছেন তাঁরা।