রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী গিয়েছিলেন নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে। তিনি দীর্ঘ সময় তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। তারপরেই বেরিয়ে এসে ভয়ঙ্কর অভিযোগ করলেন রাজ্য পুলিশ সম্পর্কে। অধীর বলেন, ‘আমি নিহত চিকিৎসকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। তাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেছি। পুলিশ পরিবারটিকে গৃহবন্দি করে রেখেছে। নানা অজুহাতে ঘর থেকে বের হতে দিচ্ছে না। পুলিশ তাদের চারপাশে ব্যারিকেড তৈরি করেছে। সিআইএসএফ-এর কাছে এই বিষয়ে কোনও ক্লু নেই।’ এদিকে মৃতার দেহ ঢাকা নীল ও সবুজ চাদরের বিতর্ক এখনও মেটে নি।
‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ নিয়ে পথে নেমেছেন সকলে। তবে কোনো রাজনৈরিক পতাকা ছাড়াই তারা পথে নেমেছেন। পথে নেমেছেন কংগ্রেসও। কালো পোশাকে অধীরের নেতৃত্বে কলকাতায় বিরাট মিছিল করে কংগ্রেস। এদিকে অধীর আরও দাবি করেন, তৃণমূল নেতাদের নির্দেশে পুলিশের তরফ থেকে নির্যাতিতার বাবা-মাকে টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। মেয়ের মৃতদেহ দ্রুত দাহ করতে বলেছিল পুলিশই। এদিকে সম্প্রতি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার চেষ্টা করায় পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল অধীর চৌধুরীকে। তিনি দাবি করেন, কংগ্রেস নেতা হিসাবে নয়, সাধারণ মানুষ হিসাবেই তাদের আন্দোলকে সমর্থন জানাতে তিনি গিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাকে যেতে দেয় নি।