রবিবার ছিল ভারতীয় শীর্ষ আদালতের ৭৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তাঁর কন্ঠে ঝরে পড়ে তীব্র ক্ষোভ, আক্ষেপ ও প্রতিবাদ। তিনি সমস্ত ভারতে নারী নিরাপত্তা নিয়ে খুবই উদ্বেগ প্রকাশ করেন। মহিলাদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে শোরগোল পড়েছে। কলকাতার আরজি কর কাণ্ড এবং মালয়ালম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যৌন হেনস্থা ও ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে বিশিষ্টজনরা। এই পরিস্থিতিতে মহিলা ও শিশুদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রবিবার নয়াদিল্লিতে সুপ্রিম কোর্টের ৭৫ বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, নির্যাতিতারা সমাজ থেকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা পান না। তাঁর কন্ঠে ছিল ক্ষোভ ও বিদ্রোহের সুর।
ভারতের শীর্ষ আদালত ৭৫ বছরের প্রবীণ। কিন্তু এখনও দেশের নারীশক্তি সুরক্ষিত নয়। এদিন রাষ্ট্রপতি বলেন, “এটা খুবই দুর্ভাগ্যের যে আমাদের সামাজিক জীবনে একজন অপরাধী অপরাধ করার পরও নির্ভয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর তাদের অপরাধের শিকার যাঁরা, তাঁরা ভয়ে রয়েছেন। যেন তাঁরাই কোনও অপরাধ করেছেন। অপরাধের শিকার হওয়া মহিলাদের অবস্থা তো আরও খারাপ। কারণ, সমাজের মানুষজনও তাঁকে সমর্থন করেন না।”দিন চারেক আগে আরজি কর কাণ্ডে মুখ খুলেছিলেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেছিলেন, “যথেষ্ট হয়েছে। ছাত্র, ডাক্তার এবং নাগরিকরা যখন কলকাতায় প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, তখন অপরাধীরা অন্যত্র ঘাপটি মেরে আছে। কোন সভ্য সমাজে মেয়ে-বোনদের উপর এমন নৃশংস নির্যাতন চলতে পারে না।” বলেছিলেন, মহিলাদের বিরুদ্ধে এই ধরনের জঘন্য অপরাধ প্রতিরোধে সামাজিক পরিবর্তনের আশু প্রয়োজন। সেই কথাই ঘুরিয়ে তিনি রবিবারও বলেন।