বয়স ২ হাজার বছর হলেও, তা কিন্তু এখনও অক্ষত। মূল শৈলী অক্ষত রেখে কিছুটা সংস্কার করা হয়েছে। ইতিহাসবিদেরা বলেন, এটাই বিশ্বের প্রাচীনতম হিন্দু মন্দির। মন্দিরটি পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী রাজ্য বিহারে অবস্থিত। এই মন্দিরে এখনও হয় শক্তির আরাধানা। আরাধনা হয় শিবেরও। মনে করা হয় এই মন্দিরটি বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে পুরনো। মন্দিরটি তৈরি হয়েছি আনুমানিক ১০৮ খ্রিস্টাব্দে। হিন্দু মন্দির বলতে বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো মন্দির এটি। এখনও ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। নিয়ম মতো আজও প্রতিদিন হয় পূজার্চানা। মুণ্ডেশ্বরী মন্দির হল বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো মন্দির। এই মন্দির অবস্থিত বিহারের শোন নদীর খারে রামগড় গ্রামে কাইমুর মালভূমির মুণ্ডেশ্বরী পাহাড়ের উপর। এই মন্দির বহন করে চলেছে হিন্দু ধর্মের ২ হাজার বছরে ইতিহাসকে।
এই মন্দিরের সঙ্গে বহু পর্যটকের সম্পর্ক আছে। ইতিহাস সাক্ষী দেয় অনেক ইতিহাসের। হিয়েঙ সাংয়ের লেখায় এই মন্দিরের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বিশেষ করে রামনবমী ও শিবরাত্রির দিনে প্রচুর ভক্তের ঢল নামে এই মন্দিরে। নবরাত্রির সময় প্রাচীন এই মন্দিরে বসে মেলাও। আর সেই মেলা দেখতে দূরাদূরান্ত থেকে আসেন মানুষ। মন্দিরটির গঠনশৈলী বেশ নজরকাড়া ও মজবুত। পুরো মন্দরটি তৈরি পাথর দিয়ে। মন্দিরটি অষ্টভূজ আকৃতির। এমন গঠনশৈলীর মন্দির বিশেষ একটা দেখা যায় না, আজকের যুগে এমন আকৃতির মন্দির বিরল। এটিকে বলা হয় নাগারা শৈলী। সেই প্রাচীন নাগরা শৈলী এখনও বহু শিল্পী অনুসরণ করেন। নাগরা শৈলীর প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়েও নিজেকে টিকিয়ে রাখতে পারে।