সাধারণভাবে আমরা জানি সপ্তর্ষিমণ্ডল হলো সাত ঋষির সমাহার। সাতজন ঋষির নামেই
সপ্তর্ষিমণ্ডল পরিচিত। পুরান থেকেই এই সাতজন প্রাজ্ঞ ঋষির পরিচয় পাওয়া যায়। চৈত্র-বৈশাখ মাসের সন্ধ্যায় উত্তর আকাশে দেখা যায় সপ্তর্ষিমণ্ডল, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ় ও শ্রাবণ মাসে তা পশ্চিমে সরে আসে। ভাদ্র থেকে অগ্রহায়ণ মাস পর্যন্ত তাদের উত্তর-পূর্ব আকাশে আর দেখতে পাওয়া যায় না। আবার পৌষ মাসে উত্তর-পূর্ব আকাশে উদিত হন সপ্তর্ষি। তারপর আবার পশ্চিমে সরতে থাকেন ধীরে ধীরে। পুরান মতে এই সাত ঋষি বিশ্বের সমস্ত ভারসাম্য রক্ষা করেন। সাধারণভাবে এই সাতজন ঋষি হলেন মহর্ষি জমদগ্নি, মহর্ষি কাশ্যপ. মহর্ষি অত্রি, মহর্ষি বশিষ্ঠ, মহর্ষি গৌতম, মহর্ষি বিশ্বামিত্র ও মহর্ষি ভরদ্বাজ।
পুরান মতে এই সাত ঋষি কিন্তু চির স্থায়ী নয়। ‘মনু’ অনুযায়ী তারা পরিবর্তিত হয়। প্রতি মন্বন্তরে অর্পিত দায়িত্ব সমর্পণ করে তাঁরা পরম ব্রহ্মে লীন হয়ে যান। আবার নতুন সাত ঋষি দায়িত্ব নেন। এটাই বিশ্বাস পুরাণে। ১৪টি মন্বন্তরে মোট সপ্তর্ষির সংখ্যা ৯৮ জন। বিষ্ণুপুরাণ অনুযায়ী, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের রচয়িতা প্রজাপতি ব্রহ্মার মন থেকে সাতজন মহাজ্ঞানী ঋষির আবির্ভাব হয়। তাঁদের উপর সমগ্র বিশ্বসংসার ভারসাম্য রক্ষার দায়িত্ব অর্পিত হয়। পুরান মতে এরাই আন্তরীক্ষে থেকে মহাবিশ্বকে চিরকাল নিয়ন্ত্রণ করে চলেছেন।