ধর্মপ্রাণ হিন্দুরা সকলেই জানেন যে মাঘ মাসের কৃষ্ণ চতুর্দশীতে এই পুজো হয়। মাঘ মাসের চতুর্দশী সংযুক্ত অমাবস্যায় রটন্তী কালীপূজা হয়। ওইদিন তারাপীঠ, দক্ষিণেশ্বার, কালীঘাট সহ সমস্ত কালী মন্দিরে নামে ভক্তের ঢল। কিন্তু একটা প্রশ্ন অনেকের মনেই আসে যে ওই কালী পুজোর নাম কেন ‘রটন্তী কালীপূজা’ । এখানেই ভারতীয় পুরানের ব্যাখ্যা হলো,
রটন্তী’ শব্দটি এসেছে ‘রটনা’ শব্দ থেকে।
কি সেই রটনা? রি প্রসঙ্গে একটা পুরানের গল্প আছে। সেই গল্পে বলা হচ্ছে, শ্রীরাধা বনে শ্রীকৃষ্ণের সাথে লীলা করতেন বলে তাঁর শাশুড়ি জটিলা এবং ননদিনী কূটিলা শ্রীরাধার নামে কলঙ্ক রটিয়ে ছিলেন এবং তা প্রমাণ করার জন্য একদিন গোপনে তারা আয়ান ঘোষকে সাথে নিয়ে শ্রীরাধার পশ্চাৎ অনুসরণ করেন। আয়ান ঘোষের আরাধ্যা দেবী ছিলেন কালী। অন্তর্যামী শ্রীকৃষ্ণ জটিলা কূটিলার গোপন অভিপ্রায় জানতে পেরে স্বয়ং কালীরূপ ধারণ করেছিলেন। শ্রীরাধাও কালীরূপী শ্রীকৃষ্ণকে কদম্ব বৃক্ষের মূলে ফল, ফুল দিয়ে পূজা করেছিলেন। এদৃশ্য দেখে জটিলা, কূটিলা ও আয়ান ঘোষের ভুল ভাঙ্গে এবং শ্রীরাধা যে স্বয়ং আদ্যাশক্তি তা বুঝতে পেরেছিলেন। এই ঘটনাটি স্মরণ করেই ভক্তজন রটন্তী কালীপূজা করে থাকেন। অর্থাৎ রটন্তী’ শব্দটি এসেছে ‘রটনা’ শব্দ থেকে। যার অর্থ প্রচার হওয়া। মনে করা হয়, এই বিশেষ দিনেই দেবীর মহিমা চতুর্দিকে রটে যায়। মুক্তকেশী মায়ের মহিমা এই তিথিতেই সর্বস্তরে রটিত হয়ে থাকে।