বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজা আসন্ন। ইতিমধ্যে মানুষের মধ্যে শুরু হয়ে গেছে পুজোর কেনাকাটা। সর্বত্রই খুঁটি পুজো হয়ে গেছে। এবার মূল পুজোর আয়োজন শুরু হয়েছে। এই পটভূমিতেই আমাদের আজকের বিষয় ‘সন্ধি পুজো।’ ষষ্ঠীতে বোধনের পর থেকেই পুজোর দিনতিথিনক্ষত্রকে ঘিরে শুরু হয়ে যায় বাঙালির পুজো উদযাপন। সপ্তমী থেকে তার অঞ্জলি দেওয়ার শুরু। অষ্টমী দিনটি তো খুবই বিশিষ্ট। বাঙালি গোটা পুজোয় আর কিছু করুক বা না-করুক, অষ্টমীর অঞ্জলি দেবেই। কিন্তু এত কিছুর পরেও দুর্গাষ্টমীতে সন্ধিপুজোর আলাদা মাহাত্ম্য।
পুরাণ মতে, এই সময় দেবী দুর্গা চণ্ড ও মুণ্ড নামে ভয়ংকর দুই অসুরকে নিধন করেছিলেন। আর এই পুণ্য ঘটনাটি মনে রাখার জন্যই প্রতি বছর অষ্টমী-নবমীর সন্ধিক্ষণে সন্ধিপুজোর আয়োজন। দেবীর সেই অতি ভয়ংকর শক্তিকেই নতুন করে আরাধনা করা হয়। অষ্টমী তিথির শেষ ২৪ মিনিট এবং নবমী তিথির প্রথম ২৪ মিনিট– মোট ৪৮ মিনিট হল সেই বিরল মুহূর্ত, সেই মূল্যবান সন্ধিক্ষণ। এই সময়েই দেবী চণ্ড ও মুণ্ডকে বধ করেছিলেন। সন্ধিপুজোয় দেবীকে চামুণ্ডা রূপে পূজা করা হয়। সন্ধিপুজোর দুটি উপচার স্পেশাল। ১০৮ টি পদ্ম এবং ১০৮ টি প্রদীপ। সন্ধিপুজোয় বলিদানও রীতি। পুরাণ বলছে, ঠিক এই সময়েই, মানে, এই ৪৮ মিনিটের সময়লগ্নেই দারুণ যুদ্ধকালে দেবী অম্বিকার তৃতীয় নেত্র থেকে দেবী কালিকা প্রকট হলেন।