যে কোনো শুভকাজের সূচনায় সর্বসিদ্ধিদাতা গণেশের পুজোর প্রচলন আছে। এছাড়াও ভাদ্র ও মাঘ মাসের শুক্লা চতুর্থী তিথিতে গণেশের বিশেষ পুজো করা হয়। ভারতে জন্মাষ্টমীর পর যে শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথি পড়ে তা গণেশ চতুর্থী নামে পরিচিত। সারা দেশে সাড়ম্বরে মহাধুমধাম করে ওইদিন গণেশ পুজো অনুষ্ঠিত হয়। গণেশ ঠাকুরের প্রিয় মিষ্টি হল মোদক। আদতে মহারাষ্ট্রের মিষ্টি এখন গণেশ ঠাকুরের হাত ধরে ঘরে ঘরে ঢুকে পড়েছে। ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের হাত ধরেই খ্যাতি লাভ করে গণেশ উৎসব।পুরাণ মতে, মিষ্টি জাতীয় পদ গণেশ ঠাকুরের খুব প্রিয় বলে মোদক নিবেদন করা হয় প্রসাদ হিসাবে। এছাড়াও মনে করা হয় মোদক গণেশ ঠাকুরের এত প্রিয় কারণ তিনি জীবনের মিষ্টতাকে গুরুত্ব দেন। তাই মোদক শুধুই মিষ্টি নয় মনে করা হয় তা গণেশ ঠাকুরের প্রতি সমর্পণ ও শুদ্ধ মনে ঈশ্বরের প্রতি ভক্তির প্রতীক। মহারাষ্ট্রে মোদক ছাড়া গণেশ উৎসব অসম্পূর্ণ ভাবা হয়। মোদক বা মারাঠি ভাষায় উকাদিচে মোদক সাধারণত তৈরি করা হয় চালের গুঁড়ি দিয়ে। পীঠের মতোই পুর হিসাবে গুড় মেশানো নারকেল কোড়া দেওয়া হয়। সুগন্ধি মশলা এলাচ, কেশর আর জায়ফল দেওয়া হয়। পিরামিডের মতো নীচের দিকে চ্যাপটা আর ওপর দিকে ছুঁচলো ত্রিভুজাকৃত আকারে গড়া হয়। মোদকের এমন আকৃতিরও গুঢ় দার্শনিক তত্ত্ব আছে। পরম ব্রহ্ম আর আত্মার মধ্যে সেতুবন্ধন করায় মোদক। মহারাষ্ট্রে গণেশ ঠাকুরকে ২১টি মোদক অর্পণ করার রীতি আছে।