মহাভারত কে লিখেছেন? মহাঋষি ব্যাস কি? মহাঋষি ব্যাস তো মহাভারত বলেছিলেন। লিখেছিলেন গণেশ।মহাঋষি ব্যাস গণেশকে অনুরোধ করেছিলেন মহাভারত লেখার জন্য। আর গণেশ সেই অনুরোধ মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু গণেশ একটা শর্ত দিয়েছিলেন, সেই শর্ত হলো, আপনি বলে যাবেন আর আমি লিখে যাবো। আমি লেখা থামাবো না। গণেশের কাছে মহাঋষি ব্যাসও একটা শর্ত রেখেছিলেন।বলেছিলেন, গণেশ আপনাকে প্রতিটা শ্লোকের অর্থ বুঝে লিখতে হবে। মহাঋষি ব্যাস গণেশকে কিছু ধাঁধা দিতেন। গণেশ সেই ধাঁধার অর্থ বোঝার জন্য কিছু সময় নিতেন,আর সেই ফাঁকে মহাঋষি ব্যাস পরের শ্লোক ভেবে নিতেন। এইসমস্ত ধাঁধাগুলোকে বলা হয় ‘কূটশ্লোক’। এই ‘কূটশ্লোক’গুলো মহাভারতে আছে। এমন তিনটে ‘কূটশ্লোক’ হলো-
১) এমন কি পানীয় আছে,যা এঁঠো, কিন্তু তাও আমরা তা ঈশ্বরকে নিবেদন করি?
– এর উত্তর হলো ‘গোরুর দুধ’। কারণ দুধ গোরুর বাচ্চা তো মুখ দিয়েই খায়।
২) এমন কোন কাপড় আছে যা মৃতদেহের কাপড় কিন্তু তাও ধর্মীয় কাজে ব্যবহৃত হয়?
– এর উত্তর হলো – ‘সিল্ক’।কারণ গুটি পোকার মৃত্যুর মধ্য দিয়েই সিল্ক জন্ম নেয়।
৩) এমন কোন খাবার আছে,যেটা কারোর বমি,তাও সেটা ধর্মীয় কাজে ব্যবহৃত হয়?
-এর উত্তর হলো ‘মধু’। কারণ বলাহয় মধু হলো মৌমাছির বমি।