বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন সভ্যতা ভারতীয় সভ্যতা। আর সেই সভ্যতার মূল ভিত্তি হলো চারটি ‘বেদ’। ভারতীয় পুরানকে বলা হয় ‘পঞ্চাম বেদ’। এর মধ্যেই নিহিত আছে প্রাচীন ভারতের ধর্ম, সংস্কৃতি ও সমাজের পূর্ণাঙ্গ চিত্র।
পুরাণ হিন্দু বিশ্বাসের প্রভাবশালী গ্রন্থ । আক্ষরিক অর্থে “প্রাচীন” বা “পুরানো” হিসাবে অনুবাদ করা, এগুলি হাজার হাজার বছর আগে অজানা লেখকদের দ্বারা লেখা হয়েছিল। জ্ঞান, পৌরাণিক কাহিনী এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বংশগত তথ্য সম্বলিত, মোট ১৮টি পুরাণ রয়েছে।
পুরাণের উৎপত্তি নিয়ে পণ্ডিতরা প্রবলভাবে বিতর্ক করেন। যদিও এটি প্রায়শই ব্যাসকে কৃতিত্ব দেওয়া হয়, যিনি মহাভারত (অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ হিন্দু পাঠ্য) বর্ণনা করেছিলেন, এটি সম্ভবত অনেক ব্যক্তি তাদের সৃষ্টিতে অবদান রেখেছেন। পুরানের মোট ৫টি বৈশিষ্ট্য আছে –
* সর্গ: সর্গ বলতে মহাবিশ্বের সৃষ্টি বোঝায়। সৃষ্টি মিথ বা গল্প এই চিহ্ন অন্তর্ভুক্ত করা হয়.
* প্রতিসর্গ: এটি মহাবিশ্বের উৎপত্তি বা প্রকৃতি সম্পর্কে হতে পারে।
* বংশ: বংশে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বংশতালিকা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে দেবতা, রাজা এবং ঋষি।
* মন্বন্তর: মন্বন্তর রাজাদের মতো ব্যক্তিদের শাসনের সাথে সম্পর্কিত। এটি মহাজাগতিক চক্র সম্পর্কেও হতে পারে।
* বংশানুচরিতম: বংশানুচরিতম রাজবংশের ইতিহাস বর্ণনা করে।
এই পুরান আসলে প্রাচীন ভারতের ধৰ্মীয় তথা সামাজিক ইতিহাসের একটি আলেখ্য।