‘আদম সেতু’ কথাটা খুব অল্প পরিচিত হলেও দক্ষিণ ভারতে অনেকেই ওই সেতুকে আদম সেতু বলে। সারা পৃথিবীতে বহু মুসলিমের কাছে আদম সেতু শব্দটি খুবই পরিচিত। রাম সেতু বা আদম সেতু নিয়ে আজও গবেষণা চলছে। তামিলনাড়ুর পাম্বান আইল্যান্ডের দক্ষিণাংশে অবস্থিত ধনুস্কোডি থেকে শ্রীলঙ্কার মান্নার আইল্যান্ডের তালাইমান্নার পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল এই সেতু। কিন্তু অনেকের মতো সরাসরি শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যোগ ছিল এই সেতুর। এই সেতু ভগবান রাম কর্তৃক নির্মিত হয়েছিল বলে যেমন অনেক মানুষের বিশ্বাস রয়েছে, অনেক মানুষ মনে করেন এই সেতুর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে হজরত আদমের কাহিনিও। ইসলাম ধর্মের এক বড়ো সাধক ছিলেন এই আদম।
লোকশ্রুতি হলো, শ্রীলঙ্কায় ‘আদম পিক’ নামে একটি পর্বত রয়েছে। সেখানে চূড়ার ঠিক কাছে রয়েছে ‘শ্রীপদ’ নামের একটি পবিত্র পায়ের ছাপ। ৭৩৫৯ ফুট উচ্চতায় সেই পায়ের ছাপের দৈর্ঘ্য ছিল ১.৮ মিটার বা ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি। হাদিস বা কোরান আয়াতে উল্লেখ না থাকলেও কথিত আছে হজরত আদম যখন দুনিয়াতে এসেছিলেন, তখন শ্রীলঙ্কার ওই আদম পিকে পদার্পণ করেছিলেন। ওই পর্বতচূড়ায় তিনি এক হাজার বছর প্রার্থনা করেন এক পায়ে দাঁড়িয়ে। সেই পায়ের ছাপই এটি, এমনটাই মনে করা হয়। তারপর পর্বত চূড়া থেকে নেমে তিনি ওই সেতু পেরিয়ে ভারতে আসেন। তখন থেকে ওই সেতুর নাম হয় আদম সেতু। এভাবেই ইসলাম ধর্মের মানুষের কাছে রাম সেতু হয়ে উঠেছে ‘আদম সেতু ‘ নামে পরিচিত।