কথায় আছে, ‘বিশ্বাসে মিলায় কৃষ্ণ, তর্কে বহুদূর।’ সেই বিশ্বাসের উপর ভর করেই দেড়শো বছর ধরেই মানুষ ছুটেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাশীনগরে পঞ্চানন ঠাকুর দর্শনে। স্থানীয়দের বিশ্বাস এই জায়গায় পুজো দিলে সেরে যায় দুরারোগ্য রোগব্যাধি।পঞ্চানন বা পঞ্চানন্দ বা পাঁচু ঠাকুর বাংলার এক খ্যাতিমান লৌকিক দেবতা। লোকবিশ্বাসে ইনি মহাদেব শিবের এক রূপ। মূলত গ্রামরক্ষক, শিশুরক্ষক রূপে পঞ্চানন ঠাকুর পূজিত হন।কাশীনগরের এই পঞ্চানন ঠাকুর একসময় জঙ্গলের মধ্যে অধিষ্ঠান করতেন। পরে ইংরেজ আমলে জঙ্গল কেটে করে এখানে মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়।
তারপর থেকেই মানুষের আগমন বাড়তে থাকে এখানে। দূর দূরান্ত থেকে ভক্তরা আসেন ঠাকুরকে দর্শন করতে। ১৫০ বছর ধরে চলে আসছে একই রীতি। এখানে রয়েছে প্রায় ৭ ফুট লম্বা পঞ্চানন ঠাকুর। মহাদেব শিবের সঙ্গে পঞ্চানন ঠাকুরের দেহাকৃতি ও বেশভূষার সাদৃশ্য আছে, তবে উভয়ের রূপকল্পনায় পার্থক্য বিদ্যমান। পঞ্চাননের গাত্রবর্ণ লাল এবং চোখমুখের ভঙ্গি রুদ্ররূপী, বেশ বড় গোলাকার ও রক্তাভ তিনটি চোখ ক্রোধোদ্দীপ্ত। প্রশস্ত ও কালো টিকালো নাক, দাড়ি নেই, গোঁফ কান অবধি বিস্তৃত।মাথায় পিঙ্গলবর্ণের জটা চূড়া করে বাঁধা এবং তার মধ্যে জটা কিছু বুকে পিঠে ছড়ানো। কানে ধুতুরা ফুল। গলায় ও হাতে বেশ বড় পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষমালা। এই ঠাকুরকে খুবই জাগ্রত ঠাকুর হিসাবে মানেন স্থানীয়রা। মার্চ মাসে এখানে খুব বড়ো করে উৎসব হয়।