একটা কথা ঠিক, সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম আন্দোলনে বাংলার শিল্প সাহিত্যের জগতের একটা বড়ো অংশ বাম সরকারের বিরুদ্ধে পথে নেমেছিলেন। তারপরে তারা অনেকেই শাসক দলের বিভিন্ন পদ পেয়ে এখন বিভিন্ন সামাজিক প্রতিবাদে আর পথে নামছেন না। তাঁদের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মাধ্যমে যেমন কটূক্তি করা হচ্ছে, তেমনই কটূক্তি করছেন বাম কর্মী সমর্থকরা। এবার বামপন্থীরা বিশেষ করে CPM তাদের দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন আনলো।
সম্প্রতি আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে অপর্ণা সেন সহ বহু শিল্পী প্রতিবাদে পথে নেমেছেন। কিন্তু রাস্তায় বাম সমর্থকরা অনেকেই তাঁকে ‘চটি চাটা বুদ্ধিজীবী’ বলে কটাক্ষ করেছেন। এতে বেজায় ক্ষুব্ধ মহম্মদ সেলিম।
শুক্রবার মুজফ্ফর আহ্মদ ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে সেলিম জানান যে সুপ্রিম কোর্টে লক্ষাধিক মানুষের সই নিয়ে আবেদন জমা করা হবে। যাতে অতীতের বিভিন্ন মামলার মতো আর জি কর হাসপাতলের ধর্ষণ-খুন মামলা দীর্ঘসূত্রিতার জালে জড়িয়ে না পড়ে। তারপরে তিনি বলেন, এদিন রাজ্যের যাঁরা ভেবেছিলেন, সরকার পরিবর্তন ইতিবাচক হবে তাঁরাও এখন প্রতিবাদে মুখ খুলছেন। সমস্বরে বলছেন যে যথেষ্ট হয়েছে! তিনি বলেন, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক কর্মী, বুদ্ধিজীবীরা প্রতিবাদে নামছেন। আমরা তাঁদের ধন্যবাদ জানাই। বামপন্থী কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে সেলিম বলেছেন যে অতীতে বিরোধিতা করেছেন এমন শিল্পী, অভিনেতারা যখন প্রতিবাদ করছেন, তখন তাঁদের স্বাগত জানাতো হবে। কোনো কারণেই তাঁদের বিরোধিতা করা যাবে না। তিনি বলেন, “আমি বামপন্থী কর্মী সমর্থকদের অনুরোধ করব যে কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে অপর্ণা সেন, অঞ্জন দত্ত, অরিজিৎ সিং, সৃজিত মুখার্জির মতো ব্যক্তিত্ব যখন প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তখন অহেতুক তাঁদের সমালোচনা করবেন না।’’ তাঁদের চেতনার পরিবর্তন হচ্ছে। সেই চেতনাকে ধন্যবাদ জানাতে হবে।