মনিপুর কিছুতেই শান্ত হচ্ছে না। ভারতের সীমান্ত এলাকায় কিছু প্রতিবেশী রাষ্ট্রের উস্কানি আছে বলেই মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত ২০২৩ সালের ৩ মে থেকে জাতিগত হিংসার সাক্ষী মণিপুর। মাঝে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত ছিল। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি অবস্থা। এখনও পর্যন্ত কয়েক হাজার জনকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চূড়াচাঁদপুর, মোরে, কাকচিং এবং কাংপোকপি জেলা থেকে অধিকাংশ মানুষকে সরানো হয়েছে। এরই মধ্যে হিংসায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। প্রসঙ্গত, ইম্ফল উপত্যকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ হল মেইতেই জনজাতি। তবে তারা সম্প্রতি দাবি তুলেছিল যে তাদের তফসিলি উপজাতির তকমা দিতে হবে। তাদের এই দাবির বিরোধ জানিয়েছিল স্থানীয় কুকি-জো আদিবাসীরা। এই নিয়েই বহু রক্ত ঝরেছে, বহু মৃত্যু হয়েছে। সাময়িক একটু শান্তির পরে আবার আগুন মনিপুরে।
ওই নির্মম ঘটনা ঘটে রবিবার। এমনিতেই একটা চাপা আগুন ছিল মনিপুরে। ফের হিংসার আগুনে জ্বলে উঠল মণিপুর। এক মহিলা সহ দু’জনের মৃত্যু হল সেখানে। জানা গিয়েছে, জঙ্গিদের গুলি লেগেই মৃত্যু হয়েছে এই দু’জনের। এছাড়াও হামলায় আরও ৯ জন জখম হয়েছেন। রবিবার মণিপুরের কউট্রুক এবং কাদাংবন্দ এলাকায় এই হামলা চালানো হয় বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানাচ্ছে, পাহাড়ের ওপর থেকে নীচের উপত্যকা লক্ষ্য করে ভারী গোলাবর্ষণ করে জঙ্গিরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে জখম ব্যক্তিদের মধ্যে ৫ জনের শরীরে গুলির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আর বাকি ৪ জনের শরীরে রয়েছে ‘স্প্লিন্টার’। এদিকে জঙ্গিদের এই আচমলা হামলায় গ্রামবাসীদের প্রাণ বাঁচাতে পালাতে হয়েছে সেখান থেকে। এদিকে মৃতদের মধ্যে যিনি মহিলা, তাঁর নাম নাংবাম সুরবালা দেবী, বয়স ৩১ বছর। এদিকে অপর মৃতের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। আবার খবরের শিরোনামে মনিপুর। বার বার আশান্ত হচ্ছে মনিপুর।