‘বাংলায় বারো মাসে তেরো পার্বন।’ বাংলার অন্যতম উৎসব শারদীয়া দুর্গোৎসব। ভাদ্র মাসের চতুর্থী তিথিতে গনেশ পুজো দিয়েই শুরু হয়ে যায় বাংলার উৎসব। গনেশ চতুর্থী উপলক্ষে উত্তর কলকাতার অন্যতম চারটি পুজো হলো – শোভা বাজার গৌরি শঙ্কর লেনের গনেশ পুজো, বৌবাজার অঞ্চলের – – – ক্লাবের পুজো, বেলেঘাটা কাদাপাড়া ইউথ স্পোর্টিং ক্লাব ও বউ বাজার শাল সমাজে পুজো। খুবই আড়ম্বারের সঙ্গে সকলেই গনেশ পুজোর উৎসবে মেতে ওঠেন।
শোভাবাজার গৌরি শঙ্কর লেনের পুজোর চেয়ার পার্শন মন্ত্রী শশী পাঁজা। এ বছরের পুজো ১৬ তম বর্ষের পুজো। তারা দক্ষিণ ভারতের একটি মন্দিরের অনুকরণে মন্দির বানিয়েছে। ওই পুজোর সভাপতি স্বপন রায়ের হাত ধরেই ১৬ বছর ধরে ওই পুজো হয়ে আসছে। কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রতিমা এক সপ্তাহ থাকবে। তিনদিন ভোগের ব্যবস্থা আছে।
বৌবাজার – – – পুজো কমিটির পক্ষ থেকে প্রবীণ উত্তম যাদব বলেন, এলাকার সকলের সহযোগিতায় তারা এই পুজো করে আসছেন। ভগবান গনেশের কাছে তাঁদের প্রার্থনা, সমাজের সমস্ত কলুস মুক্ত হোক। দেশ থেকে ধর্ষণ উঠে যাক। দেশে ও বাংলায় আবার শান্তি ফিরে আসুক।
বেলেঘাটা কাদাপাড়া ইউথ স্পোর্টিং ক্লাবের পক্ষ থেকে বলা হয়,এ বছর বাংলার পরিস্থিতি ভালো নয়। তিলোত্তমা কান্ড নিয়ে তারা খুবই মর্মাহত। তাই তারা নিজেরাও পুজোর বিভিন্ন সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাতিল করেছে। তাছাড়াও বিধায়ক সুপ্তি পান্ডে ও বিধায়ক পরেশ পালের অনুরোধে তারা পুজোর আড়ম্বর অনেক কমিয়ে দিয়েছি।
বৌবাজার শাল সমাজের পক্ষ থেকে সুধীর কুমার গুপ্ত বলেন, তারা সকলে মিলে উৎসাহের সঙ্গে এই গনেশ পুজোর উৎসবে মেতে ওঠেন। তিনি সকলকে গনেশ চতুর্থীর শুভেচ্ছা জানান।