বৈধভাবে বাংলাদেশে ঘুরতে গিয়ে বাংলাদেশীদের হাতে অপহরণ এক ভারতীয় নাগরিক! মুক্তিপণ হিসেবে ১ লক্ষ টাকা দাবি অপহরণকারীদের! বৈধভাবে বাংলাদেশে ঘুরতে গিয়ে অপহরন করা হলো এক ভারতীয় নাগরিককে। মুক্তিপন বাবদ ১ লক্ষ টাকা দাবী করছে বাংলাদেশী অপহরনকারীরা। স্বামীকে অপহরনকারীদের কাছ থেকে মুক্ত করার জন্য অসহায় স্ত্রী দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা বিলোনিয়া মহকুমার রাজনগর পি.আর. বাড়ি থানার পুলিশের কাছে দ্বারস্থ হলে স্ত্রী’কে পাগল বলে আখ্যায়িত করলেন পি. আর বাড়ি থানার পুলিশ এমনই অভিযোগ অসহায় স্ত্রীর। এখন প্রশ্ন হলো পুলিশ কি এখন ডাক্তার হয়ে গেছে? শুধু তাই নয় স্ত্রীকে পাগল বলে আখ্যায়িত করার পাশাপাশি গালিগালাজ করে অপহরণকারীদের মুক্তিপণ দিয়ে দেওয়ার জন্য পরামর্শও দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে । অবশেষে, পুলিশের সাহায্য সহযোগিতা না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন অসহায় স্ত্রী। বিচার চাইতে গেলেই পুলিশ স্ত্রীকে ধরিয়ে দিচ্ছে পাগলের সার্টিফিকেট । জানা যায়, দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা বিলোনিয়া রাজনগর আর. ডি. ব্লকের অন্তর্গত রাধানগরের বাসিন্দা চাইলাফ্রু মগ বিলোনিয়া আইসিপি দিয়ে পাসপোর্ট নিয়ে বৈধভাবে বাংলাদেশে ঘুরতে যায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর । বুধবার বাংলাদেশ থেকে তার বাড়িতে ফেরার কথা ছিল।কিন্তু, বাড়ি ফেরার সময় বাংলাদেশে অপহরণ হয় চাইলাফ্রু মগ। এরপর বুধবার ভোরে চাইলাফ্রু মগের স্ত্রীর কাছে ফোন করে বাংলাদেশী অপহরণকারীরা ১ লক্ষ টাকার মুক্তিপন দাবি করে। এরপর কোন উপায় না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার পর পুলিশ চাইলাফ্রু মগের স্ত্রীকে পাগল বলে আখ্যায়িত করে তাড়িয়ে দেয়। এরপর দিশেহারা স্ত্রী বিলোনিয়া মুহুরিঘাট আইসিপি ইনচার্জের সাথে দেখা করে ঘটনার বিষয় নিয়ে কথা বলেন। আইসিপি ইনচার্জ তখন গ্ৰুপ ডি পদে কর্মরত সুধন সুরের সাথে চাইলাফ্রু মগের স্ত্রীকে পাঠায় মুহুরীঘাট ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত গেটের কাছে বাংলাদেশ ইমেগ্ৰেশানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার জন্য। সেই সময়েও এক বিএসএফ কনস্টেবল এসে আইসিপি কর্মীকে গালিগালাজ করে গেটের কাছ থেকে সরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে । এরপর আইসিপি কর্মী সহ বিএসএফ জওয়ানের সাথে শুরু হয় বাকবিতন্ডা। এরপর বিএসএফ কনস্টেবল আইসিপি’তে ঢুকে আইসিপি ইনচার্জের সামনেই কর্মরত সুধন সুরকে মারধর করার জন্য তেড়ে আসে। এই বিষয়ে বিলোনিয়া থানায় মামলা দায়ের করা আইসিপি ইনচার্জের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত বিএসএফ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। বর্তমানে চাইলাফ্রু মগের স্ত্রীর দিশেহারা অবস্থা। কি করবে তিনি ভেবে উঠতে পারছেন না। প্রশাসনের সহযোগিতায় তার স্বামী যাতে সুস্থ অবস্থায় বাড়ি ফিরে আসে সেই আশায় বুক বেঁধে আছেন তিন সন্তানের জননী।