পদ্ম ফুলের জোগান নেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ দূর্গা পুজোতে। ফলে বিপাকে পুজো উদ্যোক্তারা। তবে চিন্তার কোন কারণ নেই। কেননা পুজোয় জেলায় পদ্মের ঘাটতি মেটাবে হিমঘরে মজুত করে রাখা পদ্মফুল। পুজোর প্রায় একমাস আগে থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পদ্মফুল সংগ্রহ করে মালদহে হিমঘরে মজুত শুরু হয়েছে। দুর্গা পুজো থেকে কালীপুজো পর্যন্ত বাজারে পর্যাপ্ত পদ্মের যোগান দিতে এখন পর্যন্ত পাঁচ লক্ষাধিক পদ্মফুল হিমঘরে মজুত করেছেন মালদহের বেশ কিছু পদ্মফুল ব্যবসায়ী। তাঁরা মূলত দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে পদ্মফুল সংগ্রহ করে নিয়ে আসছেন। দক্ষিণবঙ্গ ছাড়াও উত্তরবঙ্গের উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর সহ বিহার ঝাড়খন্ড ঘুরে ঘুরে ফুল সংগ্রহ করে নিয়ে আসছেন। অন্য বছরের তুলনায় এবার বেশি পরিমাণে ফুল সংগ্রহ করতে হচ্ছে। কারণ চলতি মরশুমে মালদহ জেলায় একেবারেই পদ্মফুল নেই।
উত্তর মালদহের ব্লকগুলিতে একসময় পুকুরে পদ্মফুলের চাষ ব্যাপক হারে হত। তবে বর্তমানে অধিকাংশ পুকুরে মাছ চাষ শুরু হয়েছে।ফলে পদ্মের চাষ অনেকটাই কমে গিয়েছে। তার উপর এই বছর মালদহে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হয়নি। মে মাসে সমস্ত পুকুরে এখনো পদ্মের চাষ হয়, বৃষ্টির জলের অভাবে পাতা হয়নি।এমনি ফুল ফোটেনি। তাই পুজোয় পদ্মের যোগান দিতে আগে থেকেই ফুল ব্যাবসায়ীরা দূর দূরান্ত থেকে ফুল সংগ্রহ করে মজুত করতে শুরু করেছেন।
শুধু মাত্র দূর্গা পুজো নয়, লক্ষী পুজো,কালী পুজোতে পদ্মের প্রয়োজন হয়। বছরের এই সময়ে পদ্মের চাহিদা থাকে। মালদহের বাজারে দীর্ঘদিন ধরেই বাইরে থেকে পদ্ম আমদানি করা হয়। তবে এই বছর সব থেকে বেশি আমদানি করতে হচ্ছে। তবে মালদহের হিমঘরে মজুত করা পদ্মফুল শুধু মাত্র মালদহের বাজারে নয়, এখানে মজুত রাখা ফুল পুজোয় উত্তরবঙ্গের প্রায় প্রতিটি জেলায় পাঠানো হয়। এমনকি মালদহের হিমঘর থেকে আসামে দুর্গা পুজোয় পদ্ম পাঠানো হয়, এমনটাই দাবি ব্যবসায়ীদের। তবে এই বছর পদ্মফুলের দাম বৃদ্ধি পাবে।