দেখতে ও গুন বিচারে মোটেই পিছিয়ে নয়, আর অন্য সমস্ত ছেলে মেয়েদের মতোই তারাও যুগের সাথে তাল মিলিয়ে যথেষ্ট স্মার্ট। রীতিমতো শিক্ষিত, পকেটে রয়েছে যথেষ্ট টাকা সংসার চালানোর। তারপরও গ্রামের ছেলেমেয়েদের বিয়ে দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে গ্রামের মানুষদের। কিন্তু কেন যে গ্রামের ছেলেমেয়েদের বিয়ে হতে এতটা সমস্য তা শুনলে এক মুহূর্তে হাসিও পেতে পারে। তবে এটাই বাস্তব যে ছেলেমেয়েদের বিয়ে দিতে না পেরে বিপাকে গ্রামের বাসিন্দারা। বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় এখন অনেকেই গ্রাম ছাড়া।
জলপাইগুড়ি বন বিভাগের মরাঘাট রেঞ্জের অন্তর্গত ধূপগুড়ি ব্লকের ঝাড় আলতা ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ভান্ডারকুড়া গ্রামে পাশের জংগল থেকে যখন তখন বেড়িয়ে আসে হাতি, আর এই যন্ত্রণা প্রতিদিনের। হাতি গ্রামে ঢুকে ইচ্ছে মতো ভাঙে বাড়ি, সাবাড় করে গরীব মানুষের ঘরে মজুত করা খাদ্যসামগ্রী। সমস্যার কথা বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও মেলেনি ফল, অভিযোগ বাসিন্দাদের। আর শুধু নিজেদের গ্রাম পঞ্চায়েতেই নয় ভান্ডারকুড়া গ্রামে যে হাতির উপদ্রব অতিরিক্ত বেশি সে কথা জানে আশপাশের গ্রাম থেকে শুরু করে শহরও, তাইতো এই গ্রামে নিজেদের ছেলেমেয়েদের বিয়ে দিতেও ভয় পায় অন্যান্য জায়গার বাসিন্দারা। গ্রামের বয়স জ্যেষ্ঠ মানুষেরাও গ্রামের ছেলেমেয়েদের এভাবে বিয়ে ভাঙ্গার কারণ হিসেবে হাতিকেই দায়ী করেছে। বহু উদাহরণ এমনও রয়েছে, পাকাপাকি ভাবে বিয়ের সমস্ত কথা হয়ে গেছে মেয়ের বাড়ি থেকে ছেলের বাড়িতে এসেছে লোক বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করতে। ছেলের বাড়ির লোকজন নতুন আত্মীয়দের বরণ করতে আয়োজন করেন এলাহি খাবার-দাবারের। ঠিক সেই সময়ই এলাকায় ঢুকে পড়ে হাতির দল আতঙ্ক ছড়িয়ে যায় গোটা গ্রামে। বিয়ে ঠিক করতে আসা মানুষজনের সামনেই লন্ডভন্ড করতে থাকে হাতি একের পর এক বাড়ি ও চাষের জমি। আর এই দৃশ্য দেখেই বারবার পিছিয়ে যায় বিয়ে। হাতির এই যন্ত্রণা থেকে কবে মুক্তি পাবে গ্রাম সেই সময়ের অপেক্ষায় গ্রামের মানুষ।