Sunday, May 25, 2025
Homeখবরচন্দ্রযান-৪ অভিযানে সবুজ সঙ্কেত দিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার

- Advertisment -

চন্দ্রযান-৪ অভিযানে সবুজ সঙ্কেত দিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার

 

 

ভারতীয় মহাকাশ চর্চার ইতিহাসে এক বিশেষ দিন। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর), চন্দ্রযান-৪ অভিযানে সবুজ সঙ্কেত দিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার। চন্দ্রযান ১ ভারতকে চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছে দিয়েছিল। একবারেই সফল হয়েছিল সেই অভিযান। চন্দ্রযান ২ অভিযানের লক্ষ্য ছিল চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ এবং গবেষণা করা। তবে, একেবারে শেষ মুহূর্তে চাঁদের বুকে ভেঙে পড়েছিল চন্দ্রযান ২ -এর ল্যান্ডার, প্রজ্ঞান। তবে, চন্দ্রযান ৩ ভারতকে সফলভাবে পৌঁছে দিয়েছিল চন্দ্রপৃষ্ঠে। এবার চন্দ্রযান ৪ অভিযানে ভারত শুধু চাঁদের বুকে অবতরণই করবে না, গবেষণার জন্য চাঁদের বুক থেকে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করে নিরাপদে তা পৃথিবীতে ফিরিয়েও আনবে। এটাই এই অভিযানের লক্ষ্য। এর জন্য বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২,১০৪.০৬ কোটি টাকা। ভারতের দীর্ঘমেয়াদী মহাকাশ অন্বেষণ লক্ষ্যগুলির দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসাবে সেট করা হয়েছে৷চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যের উপর ভিত্তি করেই চন্দ্রযান-৪ অভিযানে যাবে ইসরো। জানা গিয়েছে, এই অভিযানে চাঁদের কক্ষপথে ডকিং এবং আনডকিং, নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে আসা, চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে নমুনা সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণ-সহ ভবিষ্যতের চন্দ্র অভিযানের জন্য প্রয়োজনীয় সকল প্রযুক্তিগুলির বিকাশ এবং প্রদর্শনের উপর জোর দেওয়া হবে। গত কয়েক বছর ধরেই মহাকাশ গবেষণায় নিজের অবস্থান মজবুত করে চলেছে ভারত। ২০৩৫ সালের মধ্যে মহাকাশে ভারত একটি নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়েছে। আর তারপর, ২০৪০ সালের মধ্যে চাঁদের বুকে মানুষ পাঠানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এই সকল উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই চন্দ্রযান-৪ অভিযান হচ্ছে।এই অভিযানে ভবিষ্যতে কাজে লাগবে, এমন অনেক নতুন প্রযুক্তি এবং প্রযুক্তিগত সক্ষমতা যাচাই করা হবে। বলাই বাহুল্য এই অভিযানের নেতৃত্ব দেবে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা ইসরো (ISRO)। এদিন মন্ত্রিসভার অনুমোদন পাওয়ার পর, আগামী ৩৬ মাসের মধ্যে এই অভিযান সম্পূর্ণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই প্রকল্পে ভারতীয় শিল্প জগত এবং শিক্ষা জগতের বহু মানুষও অংশ নেবেন বলে জানা গিয়েছে। এই প্রকল্পে বড় মাত্রায় কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি করবে বলে এবং অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রেও প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ঘটাবে বলে আশা করা হচ্ছে। চাঁদ থেকে যে নমুনাগুলি নিয়ে আসা হবে, তা বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য মূল্যবান জাতীয় সম্পদ হবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Most Popular

Recent Comments