ডুয়ার্সের অনেক জায়গা আছে যেখানে এখনো ততটা ভিড় হয় না। কিন্তু প্রকৃতি এখানে অপূর্ব। উত্তরবঙ্গ মানেই পাহাড় জঙ্গল এমনটা কিন্তু নয়। তার বাইরেও একাধিক জায়গা রয়েছে। তেমনই একটা জায়গা রকি আইল্যান্ড। একেবারে অন্য রকমের বেড়ানোর মজা পাওয়া যায়। মূর্তি নদীর তীরে অসাধারণ এক জায়গা এই রকি আইল্যান্ড। উত্তরবঙ্গের একটি দিকে যেমন রয়েছে কাঞ্জনজঙ্ঘার হাতছানি। অন্যদিকে রয়েছে জঙ্গলের হাতছানি। তার মাঝেই মূর্তি নদীর পাড়ে রয়েছে এই ছোট্ট অফবিট জায়গা রকি আইল্যান্ড। শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা প্রায় সব ঋতুতেই এখানে আসা যায়। রকি আইল্যান্ডের সৌন্দর্য লুকিয়ে রয়েছে মূর্তি নদীকে ঘিরে। পাহাড়ের পাদদেশে মূর্তি নদীর পাড়ে ছোট্ট একটা জায়গা।
ডুয়ার্সের প্রায় প্রতিটি জায়গায় মানুষের উপভোগ্য।
উত্তরবঙ্গ জুড়ে রয়েছে সীমান্ত। কোথাও নেপাল তো কোথাও ভুটান। রকি আইল্যান্ড এমনই একটা জায়গা যেটির কাছেই রয়েছে ভুটান সীমান্ত। পায়ে হেঁটেই ভুটান সীমান্তের গ্রাম ঘুরে আসতে পারবেন। পাহাড় আর ডুয়ার্সের মধ্যবর্তী জায়গায় অবস্থান এই রকি আইল্যান্ডের। মার্চ এপ্রিম মাসে মূর্তি নদীর জল অনেকটাই শুকিয়ে যায়। মূর্তি নদীর পাড়েই অনেক্ষণ বসে কাটিয়ে দেওয়া যায়। মূর্তি নদীর উপরে রয়েছে একটি ব্রেল ব্রিজ। এই ব্রেল ব্রিজের উপরে দাঁড়িয়ে পর্যটকরা ছবি তোলেন। সেলফি তোলার সেরা জায়গা বললে ভুল হবে না। রিভার বেডে নেমে ঘ রতে পারেন পর্যটকরা। তবে মূর্তি নদীর জলের স্রোত এতটাই যে সেখানে বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা যায় না। রকি আইল্যান্ডে কাছে থাকার অনেক জায়গা রয়েছে। হোম স্টে থেকে হোটেল যেখানে পছন্দ থাকতে পারেন। একানে শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয় উত্তরবঙ্গের পর্যটকরাও বেড়াতে যান। শিলিগুড়ি শহর থেকে ৮২ কিলোমিটার দূরে রয়েছে রকি আইল্যান্ড। সামসিং থেকে তার দূরত্ব ২ কিলোমিটার।