মানুষ একটু স্বস্তির সন্ধানে পাহাড়ে যাচ্ছে ছুটে। কিন্তু জায়গা নেই দার্জিলিং,কালিংপংএ। এই পরিস্থিতিতে যাঁরা অফবিট পাহাড় খুঁজে বেড়াচ্ছেন তাদের জন্যই আজকের ভ্রমণ সঙ্গীর নিবেদন শিলিগুড়ির অদূরে বুংকুলুং গ্রাম। শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার। অথচ নাম শোনেননি সিংহভাগ পর্যটকই। মিরিক মহকুমার মধ্যে পড়লেও শিলিগুড়ি থেকে দুধিয়া হয়ে যেতে সময় লাগে ১ ঘন্টা। বুংকুলুং যেতে পারেন বছরের সব সময়ই। বর্ষায় রাস্তা ভাল থাকলে এর সৌন্দর্য আলাদা। স্বর্গীয় আদিম সৌন্দর্য। বুংকুলুং কিন্তু পাহাড়ে হলেও জঙ্গলের গা ঘেঁষে। মিরিক হয়ে এলে মিরিক থেকে আধ ঘন্টা লাগে। তাই মিরিক ঘুরতে গেলে একদিন এখানে রাত কাটাতে পারেন। তবে শুধু বুংকুলুং গেলে শিলিগুড়ি থেকে গেলে সময় কম লাগবে। চা-বাগানের মাঝে নিরিবিলি একটা জায়গা। খুব বেশি পর্যটকের ভিড় নেই এখানে। একটা ইকো কটেজ রয়েছে যেটি ছবির মতো সুন্দর। গাছপালার ভিড়ে। প্রচুর গাছপালার মাঝে লুকিয়ে রয়েছে একটা ছোট্ট জায়গা।
বুংকুলুং পাহাড়ি গ্রাম হলেও এখান থেকে কিন্তু কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায় না। এখানে সবুজ পাহাড়। তার সঙ্গে চা-বাগান। এখানে জঙ্গল, প্রচুর চা-বাগান আছে। পূর্ণিমার রাতে যদি আসতে পারেন, তাহলে সারা রাত জ্যোৎস্না দেখেই কাটিয়ে দিতে মন চাইবে। বুংকুলুং শব্দটি লেপচা শব্দ। এর অর্থ অর্থ পাথর গড়িয়ে আসা। সে কারণে বুংকুলুংর মাটি একেবারেই পাথুরে। বুংকুলং দিয়ে বয়ে গিয়েছে বালাসন নদী। পাহাড়ের উপত্যকার মাঝে বয়ে চলেছে এই বালাসন নদী। এই নদীর সঙ্গে বয়ে আসা পাথর থেকেই বুংকুলুংয়ের নাম হয়েছে। এখানকার বর্ষার সৌন্দর্য সবচেয়ে সুন্দর। পাহাড়,জঙ্গল, প্রচুর পাখি রয়েছে। নদীর কুলকুল শব্দে রাতে রাজ্যের ঘুম আসবে চোখে। সবুজে সবুজ এই গ্রাম। আর বর্ষায় এই গ্রাম যেন একেবারে অপার সৌন্দর্যের ডালি নিয়ে বসে রয়েছে। এখানে ধান, ভুট্টা ও বজরার চাষ প্রচুর হয়। এছাড়া পাহাড়ি এলাচ চাষ হয়। পাহাড়ের ধাপে ধাপে সেই চাষের জমি দেখলে একেবারে মন জুড়িয়ে যাবে।
যাওয়া ও থাকা – এখানে থাকার খরচ মাঝারি। হোমস্টে হলে মাথাপিছু ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকা খরচ করতে হবে। অন্যদিকে শেয়ার গাড়িতে মিরিক কিংবা দুধিয়া পর্যন্ত গিয়ে সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া নিলে অনেক কম পড়বে খরচ।